,

কপিলমুনিতে খুনের তিনদিন পর কপোতাক্ষ নদ থেকে কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার

এস,কে আলীম,কপিলমুনি খুলনাঃ খুনের তিনদিন পর কপোতাক্ষ নদ থেকে আমিনুর (২০) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনার পর দিন সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার রাত অবধি পুলিশ আগড়ঘাটা এলাকায় কপোতাক্ষ নদে লাশ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।বুধবার ভোরে জনৈক ট্রলার মাঝি আগড়ঘাটা বাজারের কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনকুলে আমিনুরের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশ ওই স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ খুনের ঘটনায় আমিনুরের পিতা ছুরমান গাজী বাদি হয়ে ফয়সালকে আসামী করে মঙ্গলবার পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০৭, তাং ০৯-১১-২১ইং।এর আগে রবিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান সরদারের ছেলে ঘাতক ফয়সাল সরদার (২১) আমিনুরকে আগড়ঘাটা বাজারের পশ্চিম দিকে ভাঙ্গন এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়।এসময় ফয়সাল ১৫ টি ঘুমের ট্যবলেট ডিসোপেন মিশ্রিত কোমল পানি খাইয়ে আমিনুরকে অচেতন করে। পরে কাছে থাকা ধারালো দা দিয়ে ফয়সাল অচেতন অবস্থায় আমিনুরে গলা কেটে হত্যা করে লাশ কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয় বলে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। ফয়সালের দেয়া তথ্যে ঘটনাস্থলে যেয়ে নদের পাড়ে আমিনুরের রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখতে পেয়ে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।খুন করার পরপরই ঘাতক ফয়সাল আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে তার পিতা ছুরমান গাজীর নিকট ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তার বাবা ৬ লাখ টাকা দিতে চাইলে রাজি হয় ফয়সাল। খুনের পরদিন সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে পাইকগাছা ব্রীজের নিচে টাকা দেয়ার সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে।থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুরকে সে একাই খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।এছাড়া প্রায়ই তারা দুজনে রাতের বেলায় ওই স্থানে বসে মাদক সেবন করতো বলেও জানায়।একিকে ঘাতক ফয়সালের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। প্রেমঘটিত কারণে কলেজ ছাত্র আমিনুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।সাধারণত অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে হত্যা করার পর মুক্তিপণের টাকা দাবি করার বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *